ব্রেকিং নিউজ
মাদারীপুরে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসা রোগীর মৃত্যু

মাদারীপুরে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে আসা রোগীর মৃত্যু

মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার মধ্যরাতে সুজন শেখ (৩৪) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি রাত ১২টার দিকে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

মৃত সুজন শেখের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ ছিল না জানিয়ে চিকিৎসক বলেছেন, ওই যুবকের জ্বর, সর্দি বা কাশির মতো করনাভাইরাসের কোনো লক্ষণ ছিল না। তবে তিনি ‘অ্যাজমার’ রোগী ছিলেন।

সুজন শেখ রাজৈর উপজেলার পৌর এলাকার ইদ্রিস আলী শেখের ছেলে। তিনি একটি বেসরকারি ওষুধ কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে পুলিশ ও জনপ্রতিনিধির সহযোগিতায় তার লাশ দাফন করা হয়।

জেলা সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুরে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে কাউকে হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়নি। এ ছাড়া শেষ হয়েছে ৬৬ জনের হোম কোয়ারেন্টাইন। গত ৩ এপ্রিল থেকে এ পর্যন্ত ৭৪ জনের নমুনা করোনা পরীক্ষার ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৩৫ জনের রিপোর্টে একজনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। সদর হাসপাতালের আইসোলেশনে রয়েছেন ৩ জন। হোম কোয়ারেন্টাইনে আছে ৭০ জন।

রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) মিঠুন বিশ্বাস বলেন, বুধবার রাত আড়াইটার দিকে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। পারিবারিক সূত্রে জানিয়েছে তিনি আগে থেকেই শ্বাসকষ্ট জনিত রোগে ভুগছেন, এ ছাড়া তার ডায়াবেটিসের সমস্যা ছিল। তিনি অ্যাজমাতে ভুগছিলেন।

রাজৈর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সোহানা নাসরিন বলেন, বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসক, জনপ্রতিনিধিসহ আমি ওই বাড়িতে এসেছি। তার পরিবারের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। তার মেডিকেল রিপোর্টগুলো চিকিৎসকেরা দেখেছেন। মৃত ওই ব্যক্তি পারিবারিকভাবে শ্বাসকষ্টের রোগী ছিল। তা ছাড়া বহুদিন ধরে অ্যাজমা ও ডায়াবেটিস সমস্যায় ভুগছিলেন।

চিকিৎসকের বরাত দিয়ে তিনি আরও বলেন, মৃত ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত নন। তাই আমরা তার নমুনা সংগ্রহ করিনি। তবে তার লাশটি স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ম অনুসারে দাফন করা হয়।

ইউএনও সোহানা নাসরিন আরো জানায়, রাজৈর উপজেলায় এ পর্যন্ত ৭২১ জনের হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৯ জনের নমুনা সংগ্রহ করে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে আইইডিসিআরের প্রতিনিধি দল সেই নমুনা ঢাকায় পাঠায়।

---------